আজ ৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কর্ণফুলী উপজেলা কর্তৃক জব্দকৃত এস্কেভেটর চুরি।

জাহিদ হোসেন।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক জব্দ করা দুটি এস্কেভেটর চুরি হয়ে গেছে। আনুমানিক ৩০ লাখ টাকা মূল্যের এ দুটি এস্কেভেটরের চুরির ঘটনায় পুরো উপজেলায় আলোচনার ঝড় উঠেছে।জিম্মাদার শিকলবাহা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. আসাদুজ্জামান কায়ছার থানায় চুরির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে এবং পুলিশ এ ঘটনায় চুরির রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে।

গত ১২ মে কর্ণফুলী উপজেলার ভেল্লাপাড়া এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এক অভিযানে অবৈধ বালু ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগে ১ লাখ ৩০ হাজার ঘনফুট বালু ও দুটি এস্কেভেটর জব্দ করা হয়েছিল।এস্কেভেটর দুটি ইউপি সদস্য মো. আসাদুজ্জামানের জিম্মায় রাখা হয়েছিল, তবে ১ জানুয়ারি সেগুলি পাওয়া যায়নি। জিম্মাদার অনেক খোঁজাখুঁজির পরও এস্কেভেটরের কোনো সন্ধান পাননি এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি থানায় চুরির মামলা দায়ের করেন।এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, জিম্মাদার এস্কেভেটরের বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য প্রদান করেননি এবং নিলামে এস্কেভেটর দুটি তোলার জন্য উপস্থিতও ছিলেন না। এর ফলে এস্কেভেটরের নিলাম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।সহকারী কমিশনার (ভূমি) রয়া ত্রিপুরা ২ জানুয়ারি জিম্মাদারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন, যেখানে বলা হয়েছে যে, জিম্মাদার তার দায়িত্ব পালন না করার কারণে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে তিন দিনের মধ্যে জবাব দাখিল করতে বলা হয়েছিল।

এ বিষয়ে জিম্মাদার মো. আসাদুজ্জামান কায়ছার বলেন, “এস্কেভেটর দুটি কীভাবে চুরি হয়েছে, আমি কিছু জানি না। প্রথমে এসিল্যাণ্ড অফিস থেকে আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, আমি তার লিখিত উত্তর দিয়েছি। পরে, এসিল্যাণ্ডের পরামর্শে আমি থানায় চুরির মামলা করেছি।”তিনি আরও বলেন, “আমি গত ১ জানুয়ারি এস্কেভেটর দুটি দেখতে গিয়েছিলাম, কিন্তু সেখানে তা পাওয়া যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোনো সন্ধান পাইনি।”এ বিষয়ে জানতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রয়া ত্রিপুরার ফোনে বার বার কল দিয়েও রিসিভ না করায় কথা বলা যায়নি, ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর