আজ ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শহীদ মিনার নির্মাতাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবী।


মোহাম্মদ মাসুদ প্রতিবেদক।

মহান আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে দেশ কালান্তর আয়োজিত ‘মাতৃভাষা দিবস ৮ই ফাল্গুন না কি একুশে ফেব্রয়ারী,শীর্ষক ভার্চুয়াল মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে আলোচকরা দাবী করেছেন ভাষা আন্দোলনের রাতে নির্মিত প্রথম শহীদ মিনার নির্মাতাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া উচিৎ।

আজ শুক্রবার,১৮ফেব্রুয়ারী,২০২২ ইং বিকাল ৪টায় ভার্চুয়াল মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শহীদ মিনার নির্মাতাদের রাষ্ট্রিয় স্বীকৃতি দাবী প্রস্তাব করে অতিথিরা ।

রাষ্ট্রীয় ভাবে তাদের সম্মান জানানোর পাশাপাশি পাঠ্য বইয়ে ওই শ্রমিকদের নাম অর্ন্তভুক্ত করা উচিৎ। দেশ কালান্তর চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান রায়হান হোসাইন ও মোহাম্মদ মাসুদের উপস্থাপনায় মুক্ত আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা অংশ গ্রহন করেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় জাতীয় কমিটির সম্বয়ক আহমেদ আবু জাফর,বিশেষ অতিথি হিসেবে গুরুত্বপুর্ন আলোচনা করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী কলেজ চট্টগ্রাম,বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিচিত্রা সেন, দেশের প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় শহীদ মিনার নির্মান শ্রমিক হাজী আবু তাহের এর বড় পুত্র মুন্সি মোঃ শামসুল আলম চৌধুরী প্রধান বক্তা হিসেবে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন।

প্রধান বক্তা হিসেবে মোঃ শামসুল আলম চৌধুরী বলেন, ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকে প্রথম শহীদ মিনার নির্মান করার ভেঙ্গে ফেলা সহ আন্দোলনের সময় বাবা মুখে শুনা ইতিহাস তুলে ধরে। মুক্ত আলোচনা উদ্ধোধণী বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট্য কবি,সাহিত্যিক ও সাংবাদিক বেলায়েত হোসেন বাচ্চু।

পবিত্র কোরান তেলোয়াত করেন সাংবাদিক হাফেজ মাওঃ সাইফুল ইসলাম।আলোচনায় অতিথিরা বলেন,মাতৃভাষা দিবসে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,সরকারী-বে সরকারী,স্বায়ত্ত¡শাষিত প্রতিষ্ঠানগুলো র‌্যালী,শহীদ মিনারে পুষ্পমান্য অর্পন ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ওই দিন শহীদ হওয়ায় শহীদদের কথা সবাই স্মরন করলেও দেশের প্রথম শহীদ মিনার নির্মান শ্রমিকদের কথা কেউ স্মরন করে না। এমকি কেউ শহীদ মিনার নির্মান শ্রমিকদের নামও জানে না। দেশ কালান্তর আয়োজিত গুরুত্বপুর্ণ মুক্ত আলোচনা থেকে জাতীয় কিছুটা হলেও ইতিহাস জানতে পারবে। সরকারে উচিৎ বিষয়টি আমলে নিয়ে সকল নির্মান শ্রমিকদের রাষ্ট্রিয় স্বীকৃতি দেওয়ায়।

উল্লেখ্যঃ ১৯৯৯খ্রিষ্টাব্দের ১৭নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় ও এতে ১৮৮টি দেশ সমর্থন জানালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে।

জীবনের দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যারা ৫২ এর আন্দোলনে ঐ রাতে প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করেছেন। আজ ৭২বছর পরেও কেন তারা রাষ্ট্রেীয় মর্যাদা পাবে না সেটি দেশ জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন?

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ সার বিশ্বে পালিত হয়।আজ আমরা যেই মাতৃভাষার কারণেই আজ বিশ্ব দরারে পরিচিত প্রশংশিত ও আলোচিত আর সেটি এখনো রয়ে গেছে ইংরেজিতে লেখা। ২১শে ফেব্রুয়ারি কেন? হবেনা কেন বাংলায় ৮ই ফাল্গুন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর